ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধ কেন হয়েছিল?

ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধ কেন হয়েছিল

ইসরাইলে হঠাৎ তীব্র আক্রমণ শুরু করেছে ফিলিস্তীনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এতে এরই মধ্যে নিহতের সংখ্যা সাতশো ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে হাজারেরও বেশি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইসরাইলে এমন প্রাণঘাতী হামলা আর দেখা যায়নি। কিন্তু কেন ইজরায়েলের ওপর হঠাৎ এভাবে আক্রমণ শুরু করল ফিলিস্তিনিরা।

ইজরাইল ও হামাসের মধ্যে সংঘাত নতুন কিছু নয়। তবে এবারের যে লড়াইটা শুরু হয়েছে তা বড় ধরনের সংঘাতের দিকে এগোচ্ছে তা আর অপেক্ষা রাখে না। নতুন করে শুরু হওয়ায় এই যুদ্ধে উত্তাল ইসলায়েল ও ফিলিস্তীন। শনিবার ভোরে দিক থেকে ইসরাইলে আকর্ষিক এবং নজিরবিহীন হামলা চালায় হামাস।

আকাশ, জল, স্থলপথে আকস্মিক হামলা চালিয়ে ইসরাইলের সঙ্গে নতুন করে সংঘাতে জড়িয়েছে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। বড় ধরনের উস্কানি ছাড়া হামাস কেন হঠাৎ এত প্রচণ্ড হামলা চালালো তা নিয়ে নানামুখী আলোচনা চলছে । সংবাদ মাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। আল আকসা মসজিদ অপবিত্র করণ এবং অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় বড় ধরণের এই সামরিক অভিযান চালাচ্ছে হামাস।

আরো পড়ুন:

সম্প্রতি ইহুদিদের শুকট ছুটির সময় অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের আলা আকসা মসজিদ কমপ্লেক্সে হাজার হাজার ইজরাইলি বসতি স্থাপনকারী জোর করে প্রবেশ করেছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। তাছাড়া ফিলিস্তিনীদের উপর ইসরাইলে বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতার হারও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

জাতিসংঘ বলছে চলতি বছরের প্রথম আট মাসে প্রতিদিন অন্তত তিনটি করে এই ধরনের সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। খালেদ কাদমি বলেছেন কয়েক দশক ধরে ফিলিস্তিনীরা যে ভয়ঙ্কর নৃশংসতার মুখোমুখি হচ্ছে তার প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই অভিযান শুরু হয়েছে।

অন্যদিকে হামাসের সামরিক কমান্ডার মোহাম্মদ দেই বলেন বিশ্বের সর্বশেষ দখলদারিত্বের অবসান ঘটানোর জন্য এটাই সবচেয়ে বড় যুদ্ধের দিন। হামাসের দাবি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গাঁজায় ফিলিস্তিনী জনগণের বিরুদ্ধে এবং আল আকসার মতো পবিত্র স্থান গুলিতে নৃশংসতা বন্ধ করুক।

তবে এই হামলার চড়া মূল্য দিতে হবে ফিলিস্তিনকে। হামাসের এই হামলার মুখে এরই মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি ঘোষণা করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন শত্রুদের এমন মূল্য দিতে হবে যা তারা কখনো দেখেনি।