Most Protected World Leaders – সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তা প্রোটোকলে থাকেন যে রাষ্ট্রপ্রধানরা

Most Protected World Leaders

Most Protected World Leaders: চলাফেরা, ভ্রমণ, ব্যক্তি জীবন সবসময় নিরাপত্তা বেষ্টনের ভেতরে জীবন কাটান বড় বড় রাষ্ট্র নেতারা। সম্ভাব্য বিপদের অস্তিত্ব খুঁজতে তাদের দেহরক্ষীর দল সবসময় ব্যস্ত থাকে।

সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান: পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জ্বালানি তেল রপ্তানিকারক দেশের প্রধান। আরব অঞ্চলের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তি। দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে দুহাজার উনিশ সালে বিশ বিলিয়ন ডলার মূল্যের সর্বাধুনিক অস্ত্র কিনেছেন তিনি।

সশস্ত্র বাহিনী আর রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীকে একত্র করে নিজস্ব একটি সেনা দল গড়ে তুলেছেন। এক হাজার উচ্চ প্রশিক্ষিত সেনার এই দল ও সাইবার সিকিউরিটি টিম প্রতি মুহূর্তে বিপদের গন্ধ শুকে বেড়ায় যাবতীয় বিপদ আপদ থেকে প্রিন্সকে রক্ষার ভার তাদের হাতে।

ব্রিটেনের প্রয়াত রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ছিলেন দেশটির নিয়মতান্ত্রিক রাষ্ট্রপ্রধান। তারও শত্রু ছিল। পৃথিবীর অন্যতম ঐশ্বর্যশালী ইংল্যান্ডের রাজপরিবারের সম্পদের পরিমান আশি বিলিয়ন ডলার। এই পরিবারের প্রধানের নিরাপত্তাও ছিল পৃথিবী সেরা।

উচ্চ প্রশিক্ষিত যোদ্ধা আর সেরা গুপ্তচরেরা রানীকে সব রকমের বিপদ থেকে রক্ষা করে গেছে। পাবলিক ইভেন্টে জনতার সঙ্গে মিশে থেকে রানীর সম্ভাব্য বিপদের উপর নজরদারি করেছেন নিরাপত্তা কর্মীরা। আর কুইজ গার্ড বাহিনী তো ছিল সর্বাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত অপ্রতিরোধ্য একটি দল।

পুলিশ আর সিক্রেট ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস এমআই সিক্সও রানীর নিরাপত্তা বিধানে নিয়োজিত ছিল এখন এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাজা চার্লসের জন্য।

আরো পড়ুন:

পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট রাষ্ট্রের প্রধান ভ্যাটিকান সিটির পোপ কিন্তু নিয়মতান্ত্রিক দেশটির শাসকই শুধু নন। ক্যাথলিক চার্চের প্রধান হওয়ায় পৃথিবীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মানুষ। তাকে পাহারা দেয় সুইস গার্ড বাহিনী। উনিশ থেকে তিরিশ বছর বয়সী একজন পুরুষ এক্সপার্টই এই দলে স্থান পেতে পারেন।

বর্তমান পোপকে সুরক্ষা দেওয়া সুইস গার্ডের সদস্য সংখ্যা গোপন রাখা হয়েছে।

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জন উনকে সুরক্ষা দিতে নিয়োজিত আছে পঁচানব্বই থেকে এক লাখ বিশ হাজার সদস্যের সুপ্রিম গার্ড কমান্ড। প্রত্যেকে মার্শাল অ্যাট এক্সপার্ট এবং তাদের নেতার জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অদ্বিতীয়। দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডিকে গুলি করে হত্যা করার পর মার্কিন প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করে তোলা হয়েছে।

এই কাজে সাতশো ইউএস সিক্রেট সার্ভিসের জন্য বছরে প্রায় দুই দশমিক তিন বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ থাকে। সাথে থাকে ভারী অস্ত্রবাহী বিশাল পুলিশবাহিনী। আর পেছন থেকে প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তায় নজর রাখে সিআইএ।

তার চলাফেরার জন্য আছে আর্মড লিমোজিন, হাইলি সিকিওর চপার আর পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ বিমান এয়ার ফোর্স ওয়ান।

বাকি থাকলো এই জমানার সবচেয়ে আলোচিত রাষ্ট্রপ্রধান রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের নিরাপত্তার কথা।

কেজিবি সদস্য হিসেবে তিনি ভালো করেই জানেন কিভাবে রাষ্ট্র নেতাদেরকে মেরে ফেলা হয়। তাই অনেক যাচাই বাছাই করে তিনি নিজস্ব বাহিনী তিন হাজার সদস্যের এফএসও গড়ে তুলেছেন। পুতিন কূটনৈতিক সফরে গেলে তার থাকার জায়গা ও সব সমাবেশের স্থান নিরাপদ করা, এমনকি তার জন্য তৈরি খাবার আগে থেকে পরীক্ষা করে তা নিরাপদ বলে নিশ্চিত করাও এফএসও এর সদস্যদের দায়িত্বের অংশ।

পাবলিক ইভেন্টে চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় বিস্তৃত থাকেন পুতিন। একটি সাইকোলজিকাল ইউনিটও মোতায়েন থাকে। কারো মুখভঙ্গি বা অঙ্গভঙ্গি নিরীক্ষা করে তার মনে কোনো দুরভিসন্ধি আছে কিনা তা বোঝা ওই ইউনিটের কাজ।

Top Stories BD এর সর্বশেষ ব্রেকিং নিউজ পেতে Google News অনুসরণ করুন