ইসরায়েল ফিলিস্তিন যুদ্ধ: বলা হয়ে থাকে মধ্য প্রাচ্যের সবচাইতে শক্তিশালী ও চৌকোস গোয়েন্দা সংস্থা ইসরাইলের। তাদের গোয়েন্দা সংস্থা শুধু ব্যাপকভাবে বিস্তৃতই নয়, অঞ্চলটিতে গোয়েন্দাদের পেছনে ইসরাইলের মতো বেশি অর্থ অন্য কোন দেশ ব্যয় করে না।
অথচ এত খ্যাতি নিরাপত্তা ও নজরদারি সরঞ্জাম থাকার পরও ইসরায়েল কেন হামাসের হামলার বিষয়ে আগাম আঁচ করতে পারলো না। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের ভেতরে যেমন ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যদাতা এবং এজেন্ট আছে। তেমনি আছে লেবানন সিরিয়া ও আরো অনেক দেশে।
অতীতে দেখা গেছে ইজরায়েলি গোয়েন্দাদের হাতে গুপ্ত হত্যার শিকার হয়েছেন বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর নেতা। এসব নেতা কখন কোথায় যেতেন, কোথায় থাকতেন তার সব তথ্যই থাকতো তাদের কাছে। সব তথ্য জেনে সুবিধামতো সময় ও জায়গায় চোরা গুপ্তা হামলায় তাদের হত্যা করা হতো।
ইসরাইলি গোয়েন্দা কখনো এসব গুপ্তহত্যা চালাতেও নির্দিষ্ট অবস্থান নিশানা করে ড্রোন হামলা চালিয়ে, কখনো নিশানা করা ব্যক্তির গাড়িতে জিপিএস ট্র্যাকার লাগিয়ে তাকে শনাক্ত করে। এমনও হয়েছে ফোনের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বা বিষাক্ত রাসায়নিক ব্যবহারের মাধ্যমে নিশানা করা ব্যাক্তিকে খুন করা হয়েছে।
গাঁজা ও ইসরায়েলের উত্তেজনাপূর্ণ সীমান্তে নিয়মিত সেনা টহলের পাশাপাশি সীমান্ত বেড়ায় অত্যাধুনিক ক্যামেরা, গ্রাউন্ড মরসুম সেন্সর রয়েছে। এই হামলার সময় যে ধরনের অনুপ্রবেশ ঘটেছে তা ঠেকাতে তারের বেড়ায় স্মার্ট প্রতিবন্ধকতাও বসানো ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। এরপরেও হামাসের যোদ্ধারা বুলডোজার দিয়ে সীমান্তে বেরা গুঁড়িয়ে দিয়ে ইসরাইলে ঢুকে পড়ে।
আরো পড়ুন:
- মাত্র দেড় বছরে দেউলিয়া হওয়া থেকে কীভাবে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে শ্রীলংকা?
- জি ২০ জোটের কাজ কী?
- Most Protected World Leaders – সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তা প্রোটোকলে থাকেন যে রাষ্ট্রপ্রধানরা
- পারমাণবিক যুদ্ধের প্রস্তুতি: রাশিয়াকে ঠেকাতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র?
- আজকের স্বর্ণের দাম কত বাংলাদেশে – Gold Price In Bangladesh Today
এমনকি সীমান্তে গর্ত খুঁড়ে সমুদ্র পথে এবং প্যারাডলাইডার ব্যবহার করে ইসরাইলে ঠোকে প্রতিরোধ যোদ্ধারা। ঘটনায় এটা পরিষ্কার যে ইসরায়েলীদের নাকের ডগায় হাজার হাজার রকেট মজুত ও গোলাবর্ষণের মতো সমন্বিত ও জটিল আক্রমণের জন্য প্রস্তুতি এবং হামলার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য হামাস নজিরবিহীন কৌশল ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
ইসরাইলের গোয়েন্দা ব্যর্থতা নিয়ে সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই হামলার জন্য দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা করতে হয়েছে হামাসকে। ইজরাইলের গোয়েন্দা তৎপরতা সম্পর্কে অন্য অনেকের চেয়ে ভালো জানে ফিলিস্তিনি এই সংগঠন। ফলে এই হামলার বিষয়টি যাতে ফাঁস না হয় সেজন্য নানাভাবে ইসরাইলি গোয়েন্দাদের ফাঁকি দিতে হয়েছে। এবং তাদের দুর্বলতা গুলো চিহ্নিত করতে হয়েছে।
হামাসের এই হামলা নিয়ে গোয়েন্দা ব্যর্থতার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বড় ধরনের একটি তদন্ত শুরু করেছে ইসরাইল। তবে তদন্ত শেষ করতে কয়েক বছর লেগে যেতে পারে।
Top Stories BD এর সর্বশেষ ব্রেকিং নিউজ পেতে Google News অনুসরণ করুন